ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় একই পরিবারের ৫ জনকে কুপিয়ে জখম

নিজস্ব প্রতিবেদক ::
কক্সবাজারের বৃহত্তর উপজেলা চকরিয়ায় জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে একই পরিবারের ৫ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসিরা। একই সাথে বসতবাড়ি, সীমানা প্রাচীর ও গরুর খামার ভাংচুর করে হামলাকারিরা।

ওই ঘটনায় আহত হয়ে ৩ জন চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও দুইজন উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে চকরিয়া পৌরসভার করিয়ারঘোনা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহতরা হলেন করিয়ারঘোনা এলাকার আব্দুল গণির ছেলে জসিম উদ্দিন, তার স্ত্রী মুরশিদা বেগম, নুরুল হোছাইন, আবুল খায়ের ও তার স্ত্রী ফারজানা আক্তার লক্ষী। তাদের মধ্যে সদর হাসপাতালে ভর্তি থাকা দুইজনের অবস্থা খুবই শংকটাপন্ন।

হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুযন্ত্রণায় ভোগা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘করিয়ারঘোনা এলাকার নুরুল আজিম নামে এক ব্যক্তি আমাদের বসতভিটায় তার অংশ আছে বলে দাবি করে আসছে। বিষয়টি নিয়ে চকরিয়া পৌরসভায় একটি অভিযোগও তারা দিয়েছিল। চকরিয়া পৌরসভার মেয়র তখন তাদের জানিয়েছিলেন, আমাদের বসতভিটাতে তারা কোন ধরণের জমি পাবে না।’

আহত জসিম উদ্দিন জানান, তার পিতা ছেলেদের নিয়ে ওই বসতভিটায় ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু হঠাৎ জমি আছে বলে রোববার দুপুরে তাদের নির্মাণাধীন বাড়িতে ভাংচুর চালায়। ওই সময় বাধা দিলে ভাড়াটে সন্ত্রাসিদের নিয়ে হামলে পড়ে নুরুল আজিম।

আহত জসিম উদ্দিন দাবি করেন, ওই ঘটনায় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অন্তত ৩০ জনেরও বেশি সন্ত্রাসি তাদের বাড়িঘর ভাঙতে ও হামলা চালাতে ভাড়া করেছিল নুরুল আজিম। ওই সময় যারা হামলা করেছে তাদের প্রত্যেককে চিনতে পেরেছেন হামলায় আহতরা।

হামলাকারিরা হলো করিয়ারঘোনা এলাকার মৃত আক্তার হোসেনের ছেলে নুরুল আজিম তার ছেলে হিরু, জিসান, আব্দুল সাত্তারের ছেলে মিজান, জাফর আলম, ছৈয়দ, ওসমান ও লালু। এছাড়াও নাম না জানা অনেকেই হামলায় অংশ নিয়েছে। এ ঘটনায় চকরিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

পাঠকের মতামত: